লকডাউন কিছুটা শিথিল করতে রাজি থাকলেও এখনই তা পুরোপুরি তুলে দিতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। লোকাল ট্রেন চালাতেও রাজি নয় তারা। বৃহস্পতিবার দিল্লিকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে একথা জানিয়ে দিল নবান্ন। সঙ্গে নয়া কেন্দ্রকে মুখ্যসচিব আমফানের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং ছিল। সেখানে লকডাউন প্রত্যাহার নিয়ে রাজ্যগুলির মত জানতে চান কেন্দ্রীয় সচিব। তখন রাজীববাবু জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন প্রত্যাহার সমীচিন হবে না বলে মনে করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লোকাল ট্রেন চালানোও উচিত নয়। লোকাল ট্রেনে কোনও মতেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখা সম্ভব নয়। ফলে সংক্রমণ ছড়াবে দ্রুত হারে। তবে লকডাউন আরও কিছুটা শিথিল করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বলে রাখি, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন চলাচল। যার জেরে কলকাতায় রুজিরুটির সন্ধানে আসতে পারছেন না শহরতলির মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে থাকায় অনেকের জমানো পুঁজিও শেষ। ফলে স্থানীয় ভাবে বিকল্প পেশা খুঁজে বার করতে হচ্ছে তাদের। কেউ সবজি বা কেউ মুরগির মাংস বিক্রি করছেন। কেউ কেউ মাছ বিক্রিকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।
লকডাউন উঠলে এইসব মানুষরা ফের কলকাতামুখো হবেন। তাতে যেমন ট্রেনের ভিতরে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে তেমন কলকাতা ও শহরতলি থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে গ্রাম ও মফস্বলে।