দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘ জামাত নিয়ে ‘জাতের নামে বজ্জাতি’র চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ওই ঘটনার জন্য ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৭৩ জন যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ’দিল্লি থেকে আসা ৫৪ জনকে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক বিদেশিও রয়েছেন। বাংলাদেশ, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের নাগরিকরাও রয়েছেন এদের মধ্যে। প্রত্যেকে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কয়েকজন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। আশা করি তাঁরা নিজে থেকেই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’
সোমবার দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনা সামনে আসে। এর পরই দেশজুড়ে খোঁজ পড়ে ওই জামাতে যোগ দেওয়া ইসলাম প্রচারকদের। বুধবার তবলিগ জামাতের মারকজ থেকে প্রায় ২,৪০০ মানুষকে উদ্ধার করেছে দিল্লি প্রশাসন।
তবলিগ জামাত থেকে করোনা ছড়ানোকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোমের আবার দাবি, ইচ্ছা করে করোনা ছড়িয়েছেন জামাতে যোগদানকারীরা। এই ধরনের মন্তব্যের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, ‘সংকটের সময় জাতপাতের রাজনীতি করবেন না। জাতের নামে বজ্জাতি করবেন না।’