বিজেপি নেতাদের ‘ভাইপো’ সম্মোধনে আপত্তি তৃণমূলের। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। এদিন তিনি বলেন, ক্ষমতা থাকলে ‘ভাইপো’ না বলে নাম বলুন বিজেপি নেতারা। পালটা দিলীপ ঘোষ বলেন, ঠিক সময়মতো নাম বলা হবে। আর সেই দিন বেশি দেরি নেই।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে জনৈক সাংসদ ‘ভাইপো’-র বিরুদ্ধে একগুচ্ছ গুরুতর অভিযোগ করেন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এর পরই এদিন তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে কৈলাসকে বেঁধেন তৃণমূলের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘কৈলাস বিজয়বর্গীয় যে সাংসদকে আক্রমণ করছেন, বিজেপি তাঁকে ভয় পাচ্ছে বলেই আক্রমণ করছে। একটি শব্দ কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও কিছু কিছু নেতা ব্যবহার করছেন। সেই শব্দটা হল ‘ভাইপো’। খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই কৈলাস বিজয়বর্গীয়জিকে যদি সাহস থাকে, হিম্মত থাকে। নাম এড়িয়ে ভাববাচ্যে কথা বলা বন্ধ করে নাম উচ্চারণ করুন’।
পালটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নাম নেব কেন? নাম ঠিক সময়ই নেবে যারা নেওয়ার। নাম প্রকাশ্যে আসবে। সেটা বেশি দেরি নেই। যাদেরকে সবাই চেনে তাদের নাম নেওয়ার দরকার নেই। যেমন আমরা যদি বলি ‘দিদি’। সবাই বুঝে যান কোন দিদি। ভাইপো বললে বুঝে যান কোন ভাইপো, কার ভাইপো। আমাদের কাজ লোককে বুঝিয়ে দেওয়া কাকে বলছি। লোকে যদি বুঝে যায়, হাত তালি দেয়, তার মানে লোকে বোঝে। ভয় পেলে বিজেপি ১৮টা আসন পেত না’।
বেশ কিছুদিন ধরেই আইনি জটিলতা থেকে বাঁচার জন্য নামের বদলে নেতাদের চিহ্নিত করতে সর্বনাম ব্যবহার করেন রাজনৈতিক নেতারা। তৃণমূলের দাবি, সেই কৌশলেই মানহানি করা হচ্ছে তাদের যুব নেতার। যা মানতে নারাজ বিজেপি।