হাওড়াগামী দুন এক্সপ্রেসের কামরায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ। আজ, সোমবার এই ট্রেনের রিজার্ভেশন ছাড়া সংরক্ষিত কামরায় উঠে ঝামেলা করার ঘটনা ঘটল। এবার দুন এক্সপ্রেসে দুষ্কৃতী তাণ্ডব দেখা গেল। ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় চলল সেই তাণ্ডব। যা দেখে আতঙ্কিত যাত্রীরা। এই ঘটনা আবার যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। চলন্ত ট্রেনে একদল দুষ্কৃতী মারধর করল যাত্রীদের। তারপর ভাঙচুর চলল ট্রেনের মধ্যেও। সংরক্ষিত আসনে বসা নিয়ে বিবাদের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা থেকেই হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে। এই ঘটনায় রেল পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাত্রীরা।
এদিকে দুন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দাবি, আজ সোমবার বিহারের উপর দিয়ে যখন দুন এক্সপ্রেস পার হচ্ছিল, তখন এস–৯ কামরায় হঠাৎ উঠে পড়েন দুই ব্যক্তি। তাঁরা জোর করে সংরক্ষিত আসনে বসার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তখন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরা আপত্তি করলে যাত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরের স্টেশন আসতেই প্রায় শতাধিক লোক হুড়মুড়িয়ে ওই কামরায় ঢুকে পড়ে। আর শুরু হয় তাণ্ডব। যাত্রীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাদ যায়নি মহিলা থেকে শুরু করে ছোট শিশুও। মাথা ফেটে রক্তারক্তি হয় একাধিক যাত্রীর। পরে রেল পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুন: ‘কোনও টেন্ডার আমি লোকালই করতে দেব না’, তিন পদক্ষেপ করে কড়া বার্তা মমতার
অন্যদিকে সংরক্ষিত আসনে বসতে না দেওয়ার জেরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাণ্ডবের সময় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। ওই ট্রেনের কামরায় থাকা বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (যাত্রী) বলেন, ‘আমাদের বারবার হুমকি দিতে থাকে। পরের স্টেশন এলে দেখে নেওয়া হবেও বলা হয়েছিল। ট্রেন কুন্দ্রা স্টেশন ঢুকতেই সেটাই ঘটল। কামরায় তখন উঠে পড়ে প্রচুর লোকজন। তাদের কারও হাতে ছুরি, কারও হাতে লাঠি। আমাদের ধরে মারধর শুরু করে। এমনকী আমাদের সঙ্গে থাকা ৬ বছরের বাচ্চাকেও মারধর করা হয়। তার পর ট্রেনে ভাঙচুর করে জানলার কাচ ভেঙে বীরত্ব দেখায়। রেলের নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য চেয়ে পায়নি।’
এছাড়া একাধিক যাত্রীকে রীতিমতো মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় বিপাকে পড়েন টাকা দিয়ে আসন সংরক্ষণ করা যাত্রীরা। এক যাত্রী বলেন, ‘কিসে চড়ে যাতায়াত করব? আমি তো ভাবতেই পারিনি এমন কিছু হতে পারে। আমার নিজের চোট লেগেছে। বাচ্চার লেগেছে। কেউ সুরক্ষিত নয়।’ একাধিক যাত্রী আহত হন। কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাত বা পায়ে চোট লেগেছে। হাওড়া স্টেশনে নামার পর জিআরপিতে অভিযোগ জানান আক্রান্ত যাত্রীরা।