আরজি কর কাণ্ডে কিছু চিকিৎসক ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছিল কলকাতা পুলিশ। এই আবহে এবার প্রখ্যাত চিকিৎসক কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে তলব করা হল লালবাজারে। এই মর্মে দুই চিকিৎসককে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করার অভিযোগে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছে লালবাজার। এদিকে ডঃ কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধেও নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে দেওয়ার অভিযোগ আছে বলে জানায় পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫ নং ধারায় নোটিশ ধরানো হয়েছে দুই চিকিৎসককে। (আরও পড়ুন: বারবার বাম-রাম তত্ত্ব মমতার, তবে আরজি কর কাণ্ডে পুলিশেরই জালে 'পার্টির ছেলেরা')
আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা হোক সন্দীপ ঘোষ ও CP বিনীত গোয়েলকে, বিস্ফোরক দাবি খোদ তৃণমূল সাংসদের
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিকেল ৩টের সময় কুণাল সরকার এবং সুবর্ণ গোস্বামীকে লালবাজারে আসতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে কুণাল সরকার জানান, তিনি সাইবার সেলের নোটিশ পেলেও আজ লালবাজারে যেতে পারবেন না। তিনি আপাতত কলকাতার বাইরে আছেন। আইনি পরামর্শ নিয়ে আগামিকাল সকালে লালবাজারে যাওয়ার বিষয়ে তিনি 'ভাবনাচিন্তা' করবেন বলে জানান। এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুবর্ণ গোস্বামী তলব প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে যে কোনও সহযোগিতা করতে রাজি আছি। আমি কোনও পরিচয় ছড়ায়নি। কোনও গুজব ছড়াইনি।' এদিকে তলবের নোটিশ প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের ডাকার জন্য যতটা তৎপর, সেই সময় যদি ওঁরা এতটাই তৎপর হতেন, তাহলে ভালো হতো। সবাই মেয়েটির বিচার চাইছে।'
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এর আগে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক বাম নেতাকে তলব করেছিল। এরই মাঝে গতকাল রাতে বেহালা থেকে নাকি দুই বাম নেতাকে তুলে লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, আটক নেতাদের নাম - সফিকুল এবং চিরঞ্জিত রায়। এর মধ্যে সফিকুল হলেন এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। আর রিচঞ্জিত এসএফআই বেহালা পূর্বের একটি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি। জানা গিয়েছে, গুন্ডাদমন শাখা আটক করেছে সফিকুলকে। সফিকুল আটক হয়েছে জানতে পেরেই লালবাজারে যান সিপিএম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, সফিকুলের বাবা এবং পরিবারের লোকজন। এদিকে জানা যায়, দমদমের এক তরুণ বাম নেতাকেও নাকি জেরা করেছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।