এয়ারপোর্ট থেকে বালির দিকে যাচ্ছিল বাসটি। একটি ট্রাককে সাইড চিপে দিয়েছিল বাসটি। আর সেই রাগে শুরু হল ট্রাক আর বাসের মধ্য়ে রেষারেষি। কার্যত প্রাণ হাতে করে বাসে বসে রয়েছেন যাত্রীরা। তবে কেবলমাত্র ট্রাকের সঙ্গে রেষারেষি নয়, বাসে-বাসে রেষারেষির ঘটনা একেবারে লেগেই আছে। মূলত যাত্রী তোলার জন্য চলে এই রেষারেষি।এমনকী একাধিক স্টপেজে ভালোভাবে না থেমেই ছুটতে থাকে বাসে। এটা রোজকার রুটিন। তবে এবার এই রেষারেষি বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এবার ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে নজরদারি করবে পরিবহণ দফতর।
এনিয়ে ইতিমধ্য়েই একটা ৬ পাতার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে। এবার ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে চলবে নজরদারি।
কেমন হবে ব্যবস্থাটি?
এই নয়া ব্যবস্থায় একটা অ্যাপ থাকবে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে সরকার। চালক কতটা গতিতে বাসটি চালাচ্ছেন সেটা ধরে ফেলবে সরকার। পরিবহণ দফতর এই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি করবেন। কিন্তু তার আগে বাস চালাতে বসলেই চালকদের এই অ্যাপে গিয়ে লগ ইন করতে হবে। এরপর তিনি যতক্ষণ বাস চালাবেন ততক্ষণ এই লগ ইন করা থাকবে। এরপরই গোটা রুটের উপর নজর রাখতে পারবে পরিবহণ দফতর। কোথাও নিয়ম ভাঙলেই ধরে ফেলবে সরকার। মূলত রেষারেষি,দুর্ঘটনার হাত থেকে যাতে রক্ষা করা যায় সেকারণে এই নয়া উদ্যোগ। এখানে নিয়ম মেনে বাস চালাতে হবে। এখানে কোনও ভাবেই এদিক ওদিক করা যাবে না।
বেপরোয়াভাবে বাস চালালেই চেপে ধরবে সরকার। কতটা গতিতে বাস চালাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখবে সরকার। এমনকী যদি পরিবহণ দফতর বুঝতে পারে যে একের পর এক নিয়ম ভাঙছেন চালক তবে চালকের লাইসেন্স সাময়িকভাবে ব্লক করে দেওয়া হবে। মূলত তাঁকে সতর্ক করার জন্য এই ব্যবস্থা।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে নেশা করে বাস চালানো যাবে না। চালক স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন কি না সেটা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাসে বাসে রেষারেষি যাত্রী তোলার জন্য এটা কোনও অবস্থাতেই করা যাবে না। বাসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যাতে বজায় থাকে সেটা দেখতে হবে। প্রয়োজনে অভিযোগ জানানো জন্য খাতা রাখতে হবে বাসে। বাসের যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক রয়েছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।