সামান্য বৃষ্টিতে এলাকা যাতে জলমগ্ন হয়ে না পড়ে, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল বিধাননগর পুরনিগম। খালপাড় সংলগ্ন ব্লকগুলিতে জমে থাকা জল বের করার জন্য ড্রপিং পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুরনিগম।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে খালপাড় সংলগ্ন দুটি ব্লকে ড্রপিং পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে। কেষ্টপুর খালের ধারে এ এ ব্লকে হবে একটি পাম্পিং স্টেশন। অন্যটি হবে ইস্টার্ন ড্রেনেসের ধারে ই ই ও এফ ই ব্লকের সংযোগস্থলে। পাম্পিং স্টেশন দুটির নকশা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য দেড় কোটি টাকার একটি দরপত্র করা হয়েছে। কেএমডিএ–এর তরফে এই প্রকল্পের কাজের অনুমোদনও করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ চালু হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, পাম্পিং স্টেশন দুটিতে ৩৫ অশ্বক্ষমতা যুক্ত দুটি পাম্প বসানো হচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই ওই পাম্প দুটি চলবে। খালপাড়ের দু'টি ব্লকের নিকাশি আউটলেটের মুখে বসানো হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় স্লুইস গেট। খালের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও তা সেন্সর স্পর্শ করবে, তখন আপনা আপনি স্লুইস গেট বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ থাকার জন্য খালের বৃদ্ধি পাওয়া জল আর সল্টলেকে ঢুকতে পারবে না। অন্যদিকে স্লুইস গেট বন্ধ হলেই নিজে থেকে চালু হয়ে যাবে পাম্প।
জানা যাচ্ছে, স্লুইস গেটের আগে সাত মিটার গভীর একটি কুয়ো তৈরি করা হবে। সেখানে ব্লকের জমে থাকা জল প্রাথমিকভাবে এসে পড়বে। যখন বৃষ্টি চলতে থাকবে, তখন দু'টি পাম্প কুয়ো থেকে জল তুলে খালে ফেলবে। এরপর বৃষ্টি থেমে গেলেও কুয়োয় অবশিষ্ট জল বের করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে পাম্প। সব জল বেরিয়ে গেলে আপনি আপনি পাম্প দু'টি বন্ধ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, সল্টলেকে খালপাড় সংলগ্ন ব্লকগুলির সঙ্গে ২৩টি নালা যুক্ত। এর মধ্যে ১৫টি নালা কেষ্টপুর খালের সঙ্গে যুক্ত ও ৮টি নালা ইস্টার্ন ড্রেনেজের সঙ্গে যুক্ত।