মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন ১৬ নভেম্বর থেকে চালু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। তার আগে পাইলট প্রজেক্ট চালু করা হয়েছিল। সেখানে সাফল্য মিলেছে। এবার তা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিশ্রুতি পালন করতে এই সরকার দায়বদ্ধ। জনগণের ভালবাসায় আজ তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভায় রয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন শপথ নিলেন উপনির্বাচনে জয়ী চার প্রার্থী। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন তাঁরা। তারপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মনে রাখবেন এখানে মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন। মানুষ ভোট দিয়ে আপনাদের পাঠিয়েছেন। বিধানসভায় কখনও অহংকার দেখাবেন না।’
এদিন চার বিধায়কের শপথের পরে বক্তব্য রাখেন পরিষদীয় বিষয়ক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বিধাসভার রীতি–নীতি পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। তবে পরিষদীয় কার্যপ্রণালীকে ক্রমাগত ব্যাহত করছেন রাজ্যপাল।’ আর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সব উৎসব উদযাপন হয়েছে বাংলায়। বুধবার কোভিড বিধি মেনেই ছট পুজো উদযাপন করা হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা এবং কিভাবে একে আরও উন্নত করা সম্ভব সেই বিষয়ে সমস্ত পরীক্ষা চালানো হয়েছে।’
শুধু দুয়ারে রেশন প্রকল্প নয়, দুয়ারে সরকার প্রকল্পও শুরু হবে রাজ্যে। রেশন সামগ্রী মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই গাড়ি করেই রেশন যাবে পাড়ায় পাড়ায়। এভাবেই পাড়ার, এলাকার, মহল্লার মানুষদেরকে দেওয়া যাবে রেশন সামগ্রী বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।