বড় বড় ঘর। কালো কোট পরা লোকজন। একেবারে গুরুগম্ভীর পরিবেশ। এমন পরিবেশে দাগীরাও ঘাবড়ে যায়। আর সে তো একরত্তি বাচ্চা। আদালতের মধ্যে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলল শিশু। কথা বলা তো দূরের কথা কান্না যেন থামতেই চায় না কিছুতেই। কলকাতা হাইকোর্টে সেই ছবিই দেখা গেল সোমবার।
আসলে ২০১৭ সালে জন্ম হয়েছিল ওই শিশু কন্যার। তারপর থেকেই বাবা ও মায়ের মধ্যে টানাপোড়েন। ২০১৮ সালে শিশুর মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিদিমার কাছেই থাকত শিশুটি। পরে দিদিমার এক প্রতিবেশী দম্পতির কাছে ঠাঁই পায় শিশুটি। এদিকে সম্প্রতি শিশুর দিদিমা মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই শিশুর বাবা সন্তানের অধিকার দাবি করতে থাকেন। এদিকে পালিকা মাও মেয়ের অধিকার ছাড়তে রাজি নন। অন্যদিকে জন্মদাতা বাবাও মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চান। এই বিবাদের জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এদিকে শিশুটি কার কাছে থাকবে তা স্থির করবে শিশু কল্যান সমিতি। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে শিশুটির সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চেয়েছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। সেই মতো শিশুকে আনা হয়েছিল আদালতে। তবে শিশুর আত্মীয়দের একটু দূরে থাকতে বলা হয়েছিল। শিশুটির পালিকা মায়ের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, মায়ের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। বিচারপতিরা কোনওভাবে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। আপাতত শিশুটিকে হাওড়ার শিশু কল্যান সমিতির অফিসে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেখানেই কমিটির সদস্যরা শিশুর সঙ্গে কথা বলবেন।