সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়। সেই ভোগান্তি কমাতে রাজ্য সরকার অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা চালু করেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। ক্রমেই সরকারি হাসপাতালগুলিতে অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৫ লক্ষ মানুষ অনলাইনে টিকিট কেটেছেন। চাহিদার কথা মাথায় রেখে আগামী দিনে রাজ্যের মহকুমা হাসপাতালগুলিতে অনলাইনে টিকিট ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে বহির্বিভাগের চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের সুবিধার জন্য অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয় ২০১৬ সালে। বর্তমানে ১৮টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ১৮টি জেলা হাসপাতাল এবং কলকাতার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে অনলাইনে টিকেটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে একেবারে বিনামূল্যে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কয়েক বছরে অনলাইনে মোট টিকিট কেটেছেন ১৪ লক্ষ ৬৮ হাজার মানুষ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হল এসএসকেএম হাসপাতালে। এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ টিকিট অনলাইনে কাটা হয়েছে।
অনলাইন টিকিটের নিরিখে জেলার হাসপাতালগুলিও খুব একটা পিছিয়ে নেই। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। এই হাসপাতালগুলিতেও অনলাইনে টিকিট কাটার সংখ্যা লক্ষাধিক। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনলাইন টিকিটের ফলে রোগীদের তথ্য অতি সহজেই সরকারের কাছে পৌঁছচ্ছে। বিশেষ করে কোন রোগী কী চিকিৎসা নিচ্ছেন? পরবর্তী সময়ে তাঁরা চিকিৎসার জন্য আসছেন কিনা? বা কোন বিভাগে কত রোগী যাচ্ছেন? এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য রাখা সরকারের কাছে সুবিধা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জ্বর, পেটের সমস্যা, অম্বল, গ্যাস এই সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে অনলাইনে বেশি টিকিট কাটা হচ্ছে। এছাড়াও অর্থপেডিক বিভাগ, ত্বকের সমস্যা, ইএনটি এবং স্ত্রীরোগ বিভাগেও উল্লেখযোগ্যভাবে রোগী আসছেন।