জামাইষষ্ঠীতে যখন ঘরে ঘরে বাবাজীবনকে নিয়ে আমোদে আত্মহারা শ্বশুর – শাশুড়িরা, তখন জামাই নির্বাচন নিয়ে বিলাপের সুর শোনা গেল এক শ্বশুরের গলায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জামাই হিসাবে মেনে নেওয়ায় জামাইষষ্ঠীতে আক্ষেপ করলেন তাঁর শ্বশুরমশাই দুলাল দাস। বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘মেয়েকে শোভনের হাতে কখনোই তুলে দিতে চাইনি’।
গত প্রায় ৪ বছর ধরে শোভন ও রত্নার দাম্পত্যকলহ রাজ্যে আলোচনার অন্যতম বিষয়। রত্নার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ব্যভিচারের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন শোভন। এরই মধ্যে জামাইষষ্ঠীর আগের দিন বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। আর তার পরই রত্নাদেবীর বাবা তথা মহেশতলা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দুলাল দাসের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর।
এদিন দুলালবাবু বলেন, ‘আমি ওর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চাইনি। কলকাতায় একজনের বাড়িতে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে শোভনরা চার ভাই মিলে গিয়ে আমাকে হাতেপায়ে ধরে রাজি করান। শোভনের বাবা এর মধ্যে ছিলেন না। কিন্তু ওর মা বলেন, বাড়িতে বউমা এলে রত্নাই আসবে। এখন মনে হয় ওর মতো জামাই না হলেই ভাল হতো।’
১৯৯৫ সালে বিয়ে হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না দাসের। দম্পতির এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। দুলালবাবু জানিয়েছেন, আগে জামাই হিসাবে বেশ দায়িত্ববান ছিলেন শোভন। নিয়মিত শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াতও ছিল তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর আমূল পরিবর্তন হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুলালবাবু।