শনিবার দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক বন্দি। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। নিহত বন্দির দেহ ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন করে বিক্ষোভ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় জেল আদালত বন্ধ থাকায় জামিনের আবেদনের শুনানি বন্ধ রয়েছে। বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না আত্মীয়-স্বজনদের। বন্দিদের এই দাবির জেরে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত হিংসায় রূপান্তরিত হয়। পুলিশের অভিযোগ, গোলমালের সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু বন্দি জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। সংশোধনাগারের পাঁচিল ভাঙার চেষ্টা হয় বলেও দাবি জেল কর্তৃপক্ষের।
এ দিকে, প্রায় চার হাজার বন্দির মোকাবিলায় জেলরক্ষীর সংখ্যা কম থাকায় প্রথমে পরিস্থিতি প্রায় নাগালের বাইরে চলে যায় কর্তৃপক্ষের। খবর পেয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মোতায়েন করা হয় আধাসামরিক ফৌজ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাশাপাশি, পুলিশকে লক্ষ্য করে লাগাতার ঢিল ছোড়েন বিক্ষুব্ধরা। ইটের আঘাতে জখম হন জেলার-সহ বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী।
জেলের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দেন বন্দিরা। খবর পেয়ে পৌঁছয় দমকল। উপস্থিত হন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।
অন্য দিকে বন্দিদের অভিযোগ, তাঁদের নিশানা করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। সংঘর্ষে এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। যদিও অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, মারা গিয়েছেন ৩ বন্দি। নিহত বন্দির দেহ ঘিরে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় শোধনাগার চত্বরে। গোলমালের সুযোগ নিয়ে কয়েক জন বন্দি জেল থেকে পালিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।