কেটে কুচি কুচি করে দুর্গাপ্রতিমাকে ভাসিয়ে দেওয়া হল জলে। এই ছবিও দেখল বাংলা। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপ্রতিমাকে কার্যত করাত দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে। এরপর সেই টুকরো গুলিকে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে জলে। এই ছবি কার্যত অনেকেরই আবেগে আঘাত হেনেছে।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর পোস্টে লিখেছেন,
ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ!
এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার।
আগে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন না করে, প্রতিমাকে যন্ত্রের সাহায্যে অসভ্যের মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলা হয়েছে। গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পৌরসভার নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা এভাবেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমা কে কেটে টুকরো করে ভাসান করেছে।
ঠিকঠাক ভাবে শাস্ত্র মতে ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিষ্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারুরই কোনো আপত্তি থাকতো না, কিন্তু তা না করে সর্বসমক্ষে এই কান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কি?
এইভাবে সরাসরি সনাতনীদের আস্থায় আঘাত হানা ন্যক্কারজনক। এর আগে রাণাঘাটে ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বন্ধ করেছে তৃণমূলের প্রশাসন, গতকালের এই ঘটনা নবতম সংযোজন।
মমতা ব্যানার্জী আর তার প্রশাসন যদি ভেবে থাকে এই ভাবে হিন্দুদের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর আঘাত হানতে থাকবে আর হিন্দুরা সেটা মেনে নেবে, আর সেটা হবে না। আমি সকল হিন্দু ভাই বোনদের কাছে আবেদন করছি আপনারা এবার জাগ্রত হন। এই হিন্দু বিরোধী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এবার একত্রিত হয়ে আওয়াজ ওঠানোর সময় এসেছে। লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন এটা কৃষ্ণনগর পুরসভার নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন শাস্ত্র মতে ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিস্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারোরই কোনও আপত্তি থাকত না। কিন্তু সেটা না করে সবার সামনে এই কাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কি?
তবে এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তবে কি নদী পরিস্কার রাখার জন্যই এভাবে প্রতিমাকে করাত দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা হল? কিন্তু তার অন্য বিকল্প পথ কি ছিল না?
যে দেবীকে ঘিরে এত মানুষের আবেগ তাঁকে এভাবে করাত দিয়ে কাটা কতটা যুক্তিযুক্ত?