পুজোমণ্ডপ থাকবে দর্শকশূন্য। এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে রায়ের আংশিক পরিবর্তন হলেও বাকি সব আবেদন নিবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তা শোনার পর হতাশ আম–বাঙালি। এই বিষয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
এদিন তিনি হাইকোর্টের এই রায়কে মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘উৎসবমুখর বাঙালি হতাশ। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে রুটিরুজির সংস্থান করতেন। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে একটা বড় অর্থনীতির সামনে এটা একটা বড় ধাক্কা। তবু পরিস্থিতি বিচার করে হাইকোর্টের এই রায় প্রত্যেকেরই মেনে চলা উচিত।’ আসলে তিনি নিজের হতাশা এভাবেই ব্যক্ত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের অধীরবাবু বলেন, ‘দুর্গাপুজোর জনসমাগমে হাইকোর্ট রাশ টানায় বাঙালির আনন্দে একটু ঘাটতি হল। তবে মনে রাখতে হবে উৎসব–আনন্দের থেকে জীবন আগে। আজকের উৎসবের আনন্দ আগামীকাল করোনার বিভীষিকায় না পরিণত হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। না হলে আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।’
এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকেও তুলোধনা করে অধীরবাবু বলেন, ‘দুর্গোৎসবের বিপুল জনসমাগমে অসংখ্য মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ কীভাবে আটকাবে তার কোনও পথ আদালতকে বলতে পারেনি রাজ্য সরকার। সরকার নিজেই স্বীকার করেছে করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণ স্তরে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্টের কাছে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আর কোনও পথ ছিল না।’
বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমার সন্দেহ আছে হাইকোর্টের রায়কে কতটা বাস্তবায়িত করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পুলিশ প্রশাসন। এই রায় বাস্তব রূপ তখনই পাবে যখন রাজ্যের আমলা, পুলিশ এই নির্দেশকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবে। কারণ মানুষের জীবনের চেয়ে তাঁর কাছে ভোটের অঙ্কটাই বড়।’