পুজোর এখনও প্রায় দু'মাস বাকি। তার আগেই কুমোরটুলি থেকে দেবী দুর্গা পাড়ি দিলেন হরিদেবপুরের একটি বাড়ির পুজোয়। তাতে করোনাভাইরাস মহামারীর অন্ধকারে সামান্য হলেও আশার ঝিলিক দেখতে পেলেন কুমোরটুলির শিল্পীরা।
গত সপ্তাহেই প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে প্রতিমা তুলে দেন। ঢাকে কাঠি পড়তে এখনও অনেক বাকি থাকলেও কুমোরটুলি থেকে এবার প্রথম কলকাতার কোনও পুজোয় পাড়ি দিলেন দেবী। শিল্পী বলেন, ‘এটা মন ভালো করে দেওয়ার প্রতীক। মহামারীর খারাপ ভাগ্য কেটে যাওয়ার প্রতীক এবং অন্যান্য বছরের মতোই ওয়ার্কশপ থেকে মণ্ডপ এবং বাড়িতে পাড়ি দেবেন উমা। সেটা কম সংখ্যায় হলেও।’
কিন্তু এত আগে কেন প্রতিমা রওনা দিল? শিল্পী জানান, পরিবারের তরফে আগেই প্রতিমা চাওয়া হয়েছে। ফাইবারগ্লাস দিয়ে তৈরি হওয়ায় প্রতিমায় কোনও ক্ষয় হবে না। পরিবারের সদস্য সোমা চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে আমরা অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই না। পুজোর আগের কয়েকদিনে কুমোরটুলির ভিড়ও এড়াতে চাই আমরা। সেই সময় সেখানে সবাই জড়ো হন এবং সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলা যাবে না।’
শিল্পী কার্তিক পাল জানান, বাড়ি ও সার্বজনীন পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে প্রতিমা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর পাঁচটা বছরের তুলনায় সেই সংখ্যাটা কম। তিনি বলেন, ‘দুর্গা প্রতিমা দেওয়ার বিষয়ের আমি আশাবাদী এবং আপনাদের খবরে একটা ভালো লাগার পরিবেশ তৈরি হবে এবং আরও উদ্যোক্তাদের অবিলম্বে প্রতিমার বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।’
কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে দেবীর প্রতিমা ও শিল্পীদের ওয়ার্কশপ স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীদের মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।