করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মণ্ডপের মধ্যেও হাতেগোনা কয়েকজন উদ্যোক্তা ঢুকতে পারবেন। একনজরে দেখে নিন দুর্গাপুজোর আয়োজন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অংশ -
রাজ্যের সব পুজো মণ্ডপকে 'নো এন্ট্রি' জোন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড দিতে হবে। কোনও মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। কোনও মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই ব্যারিকেডের দূরত্ব হবে ১০ মিটার। মামলাকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে জনস্বার্থ মামলা শুনছিল, সেটির রায়ে প্রতিটি পুজো মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড করার নির্দেশ দিয়েছে। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। ছোটো মণ্ডপের ক্ষেত্রে ব্যারিকেডের দূরত্ব হবে পাঁচ মিটার।'
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মণ্ডপে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। অর্থাৎ এবার পুজোর সময় অন্যবারের মতো দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। মণ্ডপে শুধুমাত্র পুজো কমিটির সদস্যরা ঢুকতে পারবেন। মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, 'ছোটো মণ্ডপে ১৫ জন সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ ২৫। যাঁরা প্রবেশ করতে পারবেন, আগেভাগে তাঁদের ঠিক করতে হবে এবং নিয়মিত পরিবর্তন করা যাবে না। পুজো উদ্যোক্তাদের সেই নামের তালিকা দেখাতে হবে।'
ভার্চুয়াল পুজোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফোরাম অফ দুর্গোৎসবের এক সদস্য বলেছেন, 'আমরা এখনও রায় দেখিনি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই আমরা কাজ করব। তবে রায়ে আমরা রীতিমতো অবাক হয়েছি। দর্শনার্থীদের জন্য অনেকে কমিটিই ঝাঁকজমকের সঙ্গে মণ্ডপ তৈরি করেছিল। যাবতীয় কাজ বৃথা গেল।' বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামিকাল (মঙ্গলবার) একটি বৈঠক ডেকেছে ফোরাম অফ দুর্গোৎসব। ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য পার্থ ঘোষ বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ আছে। আমরা রায়ের কপি পুরোটা পড়ে দেখি। মঙ্গলবার আমরা একটি বৈঠক ডেকেছি।’ সেই কমিটির আওতায় কলকাতার ৩৫০ টি জনপ্রিয় পুজো আছে।