হাতে আর ১২ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দুর্গোৎসব। বাংলার আপামর জনসাধারণ মেতে উঠবে উৎসবে। এই উৎসবকে সামনে রেখে অন্যত্র বেড়াতেও যান মানুষজন। আর তাই সেটাকে কাজে লাগাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল রেল। উৎসবের মরশুমে তাই প্রায় ছয় হাজার বিশেষ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করেছে রেল। আর ক’দিন পরই শুরু হবে উৎসবের মরশুম। সেই কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। এতে রেলের আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমন সফর করার ক্ষেত্রেও বেশ সুবিধা পাবেন আমআদমি।
এদিকে প্রত্যেক বছরই উৎসবের মরশুমে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির উপর যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পায়। টিকিট পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই চাপ সামলানোর জন্য প্রত্যেকবারই বাড়তি ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয় রেল। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে একটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটি হল—২০২৪ সালের তুলনায় এই বছর প্রায় দেড় হাজার বাড়তি বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর। এই বাড়তি ট্রেন চালালে বাড়তি আয়ও হবে। সেই আয়ের উৎসকেই কাজে লাগাতে চাইছে রেল। যাত্রীদের তাই টিকিট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।
আরও পড়ুন: রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের নথি তলব, স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিল সিবিআই
অন্যদিকে ভিনরাজ্যে যেসব মানুষ কর্মসূত্রে থাকেন বা বসবাস করেন দুর্গাপুজোর সময় তাঁরা বাংলায় ফিরে আসেন। এই সংখ্যাটাও অনেক। সুতরাং সেটাও একটা বড় আয় হয়ে দাঁড়াবে। বহু মানুষ উৎসবের ছুটিতে বাড়িতে ফেরার জন্য টিকিট ইতিমধ্যেই কেটে ফেলেছেন বলে খবর। তাই সব মিলিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলির উপর যাত্রীচাপ কমাতে এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে বাড়তি বিশেষ ট্রেনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার প্রায় ৫,৯৭৫টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এছাড়া ২০২৩ সালে উৎসবের মরসুমে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা ছিল ৪৪২৯টি। সেটা এবার বাড়ানো হচ্ছে। এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিশেষ ট্রেন চালানো ছাড়াও ১০৮টি ট্রেনে অতিরিক্ত অসংরক্ষিত কামরা জুড়ে দেওয়া হবে। এই উৎসবের সময়ে আরও এক কোটি বেশি যাত্রী ট্রেন পরিষেবা পাবেন।’ উৎসবের শেষে রেল কত টাকা আয় করল সেটাও জানা যাবে। উৎসবের সময়ে শিফটে ডিউটি করবেন রেল কর্মীরা। সুতরাং জনগণের অসুবিধা হবে না।