হাতে খুব বেশি সময় আছে এমন নয়। তবে আছে বলতে ৫৭ দিন। তারপরই মহাপঞ্চমী তিথি। শারদ উৎসবে মেতে উঠবে গোটা বাংলা। শহর থেকে গ্রামবাংলায় ছোট–বড় দুর্গাপুজো অনেক হয়। তবে এবার দুর্গাপুজো করার আগে শুরু হচ্ছে উদ্যোক্তাদের সরকারি অনুমতি নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা গতকাল সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে দুর্গাপুজোর ছাড়পত্র দেওয়ার অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা জারি হতেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির।
বেশ কিছুদিন আগে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জানিয়ে দেন তিনি। অনুদানের পরিমাণও বেড়েছে এবার। তবে এই নয়া নির্দেশিকা পালনের ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাবও দেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক দুর্গাপুজো নিয়ে একটি পোর্টাল গড়ে তুলেছেন। সেখানে অনুমতি সংক্রান্ত নথি জমা দিলে এই কাজ অনেকটাই সহজভাবে হয়ে যাচ্ছে বলে খবর। তাই অনলাইনে এমন কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুদ্ধবাবুর স্মরণসভার স্থান ও দিন চূড়ান্ত, সময়–আমন্ত্রণ তালিকা এখনও তৈরি হয়নি সিপিএমের
দুর্গাপুজো উদ্যোক্তদের ছাড়পত্রের জন্য কোথাও ছোটাছুটি করতে হবে না। মুখ্যসচিব গোটা বিষয়টি নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে ওই পোর্টালে আবেদন করতে হবে। জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য। এই আবেদনের ভিত্তিতেই অনলাইনে জেলা প্রশাসন দমকল, বিদ্যুতের অনুমোদন দিয়ে দেবে। সুতরাং পরিষেবা মিলবে এক ঝটকায়। এখন একটা নতুন ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। সেটি হল, শহর থেকে মানুষ গ্রামের নামকরা দুর্গাপুজো দেখতে যাচ্ছেন। গ্রামবাংলা থেকেও মানুষ শহরে আসছেন। সেটা প্রত্যেকবারই আসেন। কিন্তু শহরের মানুষ গ্রামের দুর্গাপুজো দেখতে যাওয়ার বিষয়টি বাড়তে শুরু করেছে।
এই শহরের মানুষ গ্রামের পুজো দেখতে যাওয়ার ফলে সেখানেও ভিড় বাড়ছে। তাই নানা ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। এবার মুখ্যসচিব বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘ব্যারাকপুর এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এই ধরনের পোর্টাল তৈরি করেছে। এবার তাই সেগুলি দেখে জেলাশাসকদেরও এই পোর্টাল চালু করে ছাড়পত্র দেওয়ার অনুমতির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যাতে জেলার দুর্গাপুজো সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে জেলাশাসকের পোর্টালে থাকে। জেলায় কোনও ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে সেটা নবান্নে জানাতে বলা হয়েছে।’