হাই কোর্টের নির্দেশ মতো গত ১৯ অগস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এরই মাঝে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলোর অনুমোদন বাড়িয়েছে রাজ্য। এই আবহে আদালত অবামননার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আজ সেই মামলার রায়দান।
1/5মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে পুজো কমিটিগুলোর জন্য ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করার পরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, আদলতের নির্দেশমতো সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়নি, সেখানে কেন পুজোয় এইভাবে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? (HT_PRINT)
2/5প্রসঙ্গত, ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছিল ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যকে নোটিশ জারি করেছিল হাই কোর্ট। জবাবে রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিয়ে জানায়, কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বাকি নেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) (HT_PRINT)
3/5মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের যুক্তি, ‘পুজোর নাম করে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অনুদান দেওয়া সংবিধান বিরোধী।’ যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, এই টাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য খরচ করা হবে। এই মামলার শুনানির শেষদিন বিচারপতি সরকার পক্ষকে প্রশ্ন করেছিলেন, অনুদানের টাকা যে নির্দিষ্ট খাতেই ক্লাবগুলো ব্যয় করবে সেটা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে? ফাইল ছবি (HT_PRINT)
4/5উল্লেখ্য, গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা করেনি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গত ১৯ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথা না মেনে বরং রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোকে অনুদানের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি (HT_PRINT)
5/5প্রতিটি ক্লাবকে ৫০ হাজারের বদলে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কলকাতা এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষৎকে অনুরোধ করা হয়, পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে পুজো অনুদান বাবদ রাজ্যের কোষাগার থেকে খসবে মোট ২৫৮ কোটি টাকা। পুজো কমিটিগুলোকে বিপুল অঙ্কের অনুদান দেওয়া নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই নিয়েই মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। আজ সেই মামলারই রায়দান। (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক) (HT_PRINT)