পুজো মানে ঝলমলে মণ্ডপ, পুজো মানে ঠাকুর দেখা, দেদার আড্ডা আর অবশ্যই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া। আর পুজো এলেই ঘরের জন্য় মন কেমন করে অনেকেরই। তবে এবার মন কেমন করলেও পুজোর চারদিন ঘরে ফেরার উপায় সেভাবে নেই এসএসসি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সহ শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন পদস্থ কর্তাদের। সেক্ষেত্রে সম্ভবত পুজোর সময়টা এবার গরাদের ওপারেই কাটাতে হতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, এসএসসির দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এবার হয়তো পুজোর চারদিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে পারবেন না তারা। তবে এলাহি খাবার থেকে বঞ্চিত হবেন না। কারণ প্রতি বছর পুজোর কয়েকটা দিন জেলে জমিয়ে রান্নাবান্না হয়। পেটপুজোর এলাহি আয়োজন হচ্ছে জেলের মধ্যেই। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে এবার প্রেসিডেন্সি জেলে পুজোর মেনুতে শুধুই খাসির মাংস। চিকেনকে বাদই রাখা হচ্ছে। মটন কষা, মটন গ্রেভি পড়বে পাতে। রুই আর কাতলার কালিয়াও থাকবে তার সঙ্গে। স্পেশাল পটল চিংড়ি করার পরিকল্পনাও রয়েছে এবার।
তবে অষ্টমীর দিন এবারও হবে খিচুড়ি। সঙ্গে চাটনি, পাপড় তো আছেই। ইচ্ছে হলে লুচিও, ঘুগনিও পাবেন বন্দিরা। রসগোল্লা, লাড্ডু দিয়ে মিষ্টিমুখ করারও ব্যবস্থা থাকছে। এককথায় পুজোর চারদিন খাওয়ার একেবারে এলাহি আয়োজন থাকছে জেলে। সেই একঘেয়ে খাবার থেকে অনেকটাই আলাদা।
হয়তো অনেকেরই মনে পড়ে যাবে গতবছর হই হই করে পুজো কাটানোর সময়টার কথা। সূত্রের খবর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় কোনও উৎসবের দিন এলেই পুরানো দিনগুলো কীভাবে কাটাতেন সেসব সহবন্দিদের বলছেন।
সূত্রের খবর বাড়ির কথা মনে পড়ছে অর্পিতার মুখোপাধ্য়ায়েরও। মা কেমন আছেন সেটাও জানতে চাইছেন। হয়তো পুজো এসেছে বলেই মনে পড়ে যাচ্ছে পুজোয় বেলঘরিয়ার বাড়িতে ফেরার কথা। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।