বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > দুর্গাপুজোর আগে আবার কলকাতায় আসছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা, নতুন উদ্যোগ কী?‌

দুর্গাপুজোর আগে আবার কলকাতায় আসছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা, নতুন উদ্যোগ কী?‌

দুর্গাপুজো।

এই খবর চাউর হতেই কলকাতাবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে উঠেছে। ২০২২ সালে এই প্রাক পুজোর অনুষ্ঠানে ২০ হাজার অতিথির সমাগম হয়েছিল। এবার তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশ–বিদেশের নানা বিশিষ্ট মানুষজন এখানে সমবেত হবেন। তার সঙ্গে পর্যটন সংস্থাগুলিও আসবে। রাজ্য পর্যটন দফতরও এই উদ্যোগের পাশে আছে।

সাংস্কৃতিক পরম্পরাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে তারা। এই কাজ তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। গত ২০ বছর ধরে তাদের এই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। আর তার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে কলকাতা। এখানের সংস্কৃতি তো বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। এমনকী তারা সেই স্বীকৃতিও দিয়েছে। কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছিল ইউনেস্কো। তারপর থেকেই আরও উন্নত হয়েছে দুর্গাপুজো। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজপথে হেঁটেছিলেন। আবার কলকাতায় আসছে ইউনেস্কো। মহালয়ার ঠিক আগে কলকাতায় আসছে বলে ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছে তারা।

এদিকে আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া পড়েছে। তার আগেই দুর্গাপুজোর আমেজ নিতে কলকাতায় আসছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। কারণ এটা তো শুধু পুজো নয়। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা শিল্প। পুজোর সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধনই তাঁদের আকর্ষণ করেছে। তাই ইউনেস্কোর এবার সেসব পরখ করে দেখতে চায়। আর সেটাই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চায়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটা কলকাতার কাছে গর্বের। প্যারিস থেকে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইউনেস্কো। দুর্গাপুজোর এই প্রাক প্রদর্শনীর জন্য ২২টি বারোয়ারি থিম পুজো, দু’টি সাবেকিয়ানার পুজো এবং দু’টি বনেদি বাড়ির পুজোকে বেছে নিয়েছেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। ১১–১৪ অক্টোবর তা চলবে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে তোড়দোর শুরু হয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সায়ন্তন মৈত্র বলেন, ‘প্রিভিউ শোয়ের জন্য ৬৩টি বারোয়ারি পুজোর আবেদন পেয়েছিলাম। তারপর বিদেশি শিল্পীদের একটি বিচারকমণ্ডলী পুজোগুলি বাছাই করতে সাহায্য করে।’‌ এই প্রদর্শনীতে কলকাতার সেরা শিল্পীদের পুজো, নামী ও জনপ্রিয় থিম পুজো, জনপ্রিয় সাবেকিয়ানার পুজো এবং কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজো দেখার সুযোগ থাকছে। কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সুতরাং দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতা জমজমাট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ ধর্মতলা থেকে খিদিরপুর ট্রাম রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে, কেন নস্টালজিয়া হারাল মহানগরী?‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই খবর চাউর হতেই কলকাতাবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে উঠেছে। ২০২২ সালে এই প্রাক পুজোর অনুষ্ঠানে ২০ হাজার অতিথির সমাগম হয়েছিল। এবার তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশ–বিদেশের নানা বিশিষ্ট মানুষজন এখানে সমবেত হবেন। তার সঙ্গে পর্যটন সংস্থাগুলিও আসবে। রাজ্য পর্যটন দফতরও এই উদ্যোগের পাশে আছে। দুর্গাপুজোর দর্শনের একটা বড় দরজা খুলে যাচ্ছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে। উদ্যোগটিতে যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলও। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘দুর্গাপুজোর ভিড় এড়িয়ে পুজো দেখার এমন সুযোগ বিদেশি অতিথিদের জন্য কলকাতার সেরা বিজ্ঞাপন।’

বন্ধ করুন