সরস্বতী পুজো সামনেই। তার আগেই দুর্গাপুজোর এলাহি আয়োজন নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বাস্তবিক অর্থেই জমকালো নজরকাড়া আয়োজন করতে চান বাংলার শারদ উৎসবকে ঘিরে। এদিকে ইতিমধ্যেই কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে সেই আনন্দ উৎসব পালন করা যায়নি যথাযথভাবে। সেক্ষেত্রে আগামী দুর্গোৎসবকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠক থেকেই দুর্গাপুজো নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইউনেস্কোকে ধন্য়বাদ। আমাদের দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আবেদন করেছিলাম। অনেক লড়াইয়ের পর এই স্বীকৃতি। তবে ইউনেস্কোর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। দুর্গাপুজো কীভাবে করতে হয় দেখিয়ে দেব। খালি তো শুনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি নাকি পুজো করতে দিই না। অভিনন্দন কী করে জানাতে হয় সেটা গোটা দেশের লোক দেখবে।
একেবারে ধরে ধরে তিনি পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেন। এবার প্রত্যেক পুজো কমিটিকে বলব আগে থেকে তৈরি হোন।একমাস আগে থেকে উদযাপন হবে। একমাস আগেই শহর জুড়ে মিছিল হবে। শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে স্বীকৃতিকে উদযাপন হবে। সমাজের অনগ্রসর মায়েরা শঙ্খ, উলুধ্বনি দেবেন। এবছর পুজো এমন হবে যাতে তাক লেগে যায় গোটা দেশের। জানিয়েছেন মমতা।