ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ক্ষতির ভূত, এপ্রিলেই ফুলবাগান পর্যন্ত চলতে পারে ট্রেন

ইস্ট – ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাকে প্রাসঙ্গিক করতে তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।

জোর কদমে চলছে ফুলবাগান স্টেশন তৈরির কাজ।

কলকাতাবাসীদের ধৈর্যের চরম পরীক্ষা নিয়ে অবশেষে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ইস্ট – ওয়েস্ট মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা। ওই দিন মেট্রোর উদ্বোধনে হাজির থাকবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বিধাননগর সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে ৬টি স্টেশনে চলবে মেট্রো। তবে এই পরিষেবা কতটা জনপ্রিয় হবে তা নিয়ে আগে থেকেই আশঙ্কায় ভুগছিলেন মেট্রোর আধিকারিকরা। শুরুতেই লোকসানের ধাক্কা সামলাতে তাই বিকল্প পথ বার করেছেন তাঁরা। ঠিক হয়েছে, দ্রুত সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত চালানো হবে মেট্রো। তাতে লোকসানের বোঝা কিছুটা অন্তত কমবে।

বিধাননগর সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা কার্যত ব্যবহারিকতাহীন বলে জানিয়েছিলেন অনেকেই। এই পথে এখনই একাধিক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে একের পর এক বাস, অটো। আর এই রাস্তায় যানজটের সমস্যাও তেমন প্রকট নয়। ফলে এই পথে কেউ মেট্রোয় উঠবেন বলে মনে হয় না।

ইস্ট – ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাকে প্রাসঙ্গিক করতে তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সল্টলেক স্টেডিয়াম পেরিয়েই সুভাষ সরোবরের পাশ দিয়ে মাটির নীচে ঢুকবে মেট্রো। সুড়ঙ্গের ভিতর রেল লাইন পাতা ও সিগন্যালিংয়ের কাজ শেষ বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ফুলবাগান স্টেশনেরও যাবতীয় কাজ শেষ। ফুলবাগান স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে শিয়ালদার দিকে লাইন বদল করবে মেট্রোর রেক। সেই সব জায়গায় সিগন্যালিংয়ের পরীক্ষা চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে।

মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে এপ্রিলের মধ্যেই ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু করতে বদ্ধপরিকর তারা। নইলে লোকসানের বোঝা বেশিদিন টানা সম্ভব নয়।