জমি রেলের। সেটা দখল মুক্ত করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। তবে নিজেদের জমি পরিদর্শন করতে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে রেল আধিকারিকদের। এই আবহে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখল রেল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম দীপককুমার নিগম নিজে দখল হওয়া জমি পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। এই আবহে পূর্ব রেলের তরফ থেকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নে। (আরও পড়ুন: 'ওর নামে মেয়ে ঘটিত অভিযোগ শুনিনি… আরজি করে অন্য কেউ…', মুখ খুললেন সঞ্জেয়র বোন)
আরও পড়ুন: 'ছেলের ফাঁসি হোক…একা কাঁদব', আরজি করের নির্যাতিতাকে 'মেয়ের মতো' বললেন সঞ্জয়ের মা
উল্লেখ্য, ট্রেনের গতি বাড়াতে লাইনের আশেপাশের দখল জমি খালি করার জন্যে তৎপর হয়েছে রেল। এই আবহে বর্ধমান শাখায় ইতিমধ্যেই রেল লাইনের দু'পাশে ফেন্সিং করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিয়ালদা ডিভিশনের অন্যান্য শাখাতেও এই একই কাজ করতে চায় পূর্ব রেল। এই আবহে বিগত দিনে কল্যাণী, শান্তিপুর, নৈহাটির মতো জায়গাগুলিতে রেলের জমি দখলমুক্ত করার জন্যে ইন্সপেকশন করা হয়। তবে সেই সব ইন্সপেকশনের বিশেষ ট্রেন অবরোধ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দখলদারদের বিরুদ্ধে। এই আবহে নবান্নকে লেখা চিঠিতে পূর্ব রেলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে বারবার লাইনের উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ইন্সপেকশন ট্রেন কারকে। (আরও পড়ুন: মারা গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতি, বিস্ফোরণে শ্বাসনালী সহ পুড়েছিল দেহের ৭৪%)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মেডিক্যাল প্রবেশিকায় প্রথম সুশোভন, ফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ঢাকায়
এদিকে রেলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দখল হওয়া জমি উদ্ধার সম্ভব না হলে কেন নতুন লাইন পাতা অথবা রেলের অন্যান্য কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে না। এই আবহে পুলিশি এবং রাজনৈতিক সাহায্য প্রার্থনা করেছে রেল। এর আগে লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, বাংলায় দখল হয়ে যাওয়া রেলের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে মিলছে না পুলিশের সাহায্য। এই আবহে এখানে রেলের কাজের অগ্রগতি নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য এই ইস্যুতে উলটে রেলের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন। রেলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, 'বেকারের কথাবার্তা বলছে। প্রচুর জায়গায় দখলদারদের তুলে দিচ্ছে রেল। ক'দিন আগেই রামপুরহাটে তুলে দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে পলিটিক্যাল কথাবার্তা। গরিব মানুষকে আমরা সবসময় সহযোগিতা করি। রাতারাতি তুলে দিলে, শীতের মধ্যে যাবে কোথায়?'