বুধবারই সাধারণ মানুষের স্বার্থে লোকাল ট্রেন আরও বাড়াতে রেলের কাছে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে রাজ্য প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ।
বৈঠক শেষে এদিন সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যেক মুখ্যসচিব বলেন, ‘রেল পরিষেবার সঙ্গে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়ানো নিয়ে পূর্ব রেল ও দক্ষিণ–পূর্ব রেলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কমানোর লক্ষ্যে আমরা একযোগে রাজ্যে অফিস টাইমে ১০০ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ একইসঙ্গে রেলের তরফ থেকে সকাল ও বিকেলের ব্যস্ত সময়ে ১০০ শতাংশ লোকাল ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার কথা এদিন জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এই সুবিধা যাত্রীরা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব রেলের আধিকারিক জানান, আমরা অফিস টাইমে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানোর চেষ্টা করব। হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে এখন ৪৬ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। বুধবার করোনা আবহে ট্রেন পরিষেবা চালুর প্রথম দিনই হাওড়া–শিয়ালদহ মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। সাধারণত অন্যান্য কাজের দিনগুলিতে ৩০ লক্ষ যাত্রী ট্রেনে চাপেন।
তিনি আরও জানিয়েছে, এক–একট ট্রেন প্রতি বুধবার গড়ে যাত্রী চেপেছেন ১২০০–র কাছাকাছি। অফিস টাইমে তা কিছুটা বেড়েছে। সাধারণত এই সংখ্যা ২২০০–র আশপাশে থাকে। তাঁর মতে, স্কুল, কলেজ এখনও না খোলায় আপাতত যাত্রী কম রয়েছে। এদিকে, দক্ষিণ–পূর্ব রেলের তরফ থেকেও এদিন জানানো হয়েছে, তুলনামূলকভাবে তাদের কম ট্রেন চললে তাতে যাত্রীও হচ্ছে কম। এবং ধীরে ধীরে এই পরিষেবাও আরও বাড়ানো হবে।