ভোটগণনা শেষ হতেই রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলা থেকে আসছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। বিপুল জয়ের পরে তৃণমূলের একমাত্র নিশানা এখন বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা তো বটেই। তৃণমূলের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও। ইতিমধ্যে একাধিক মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে পদক্ষেপ করল কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, হিংসা রুখতে আগামী ১০ দিনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন থাকবে ১০৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী।
রাজ্যে হিংসা রুখতে ৮ দফায় ভোট করিয়েছে কমিশন। ময়দানে নামানো হয়েছিল ১,০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ভোটগ্রহণপর্বে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু ছাড়াও সেখানেই এক বিজেপি সমর্থক যুবকের মৃত্যু হয় তৃণমূলের গুলতে। এছাড়া বাকি দফাগুলি ছিল মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে মোট ১০৫ কোম্পানি বাহিনী আগামী ১০ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে। বাকি বাহিনী ফেরত চলে যাবে তাদের ব্যাটেলিয়নে।
রবিবার ভোটগণনায় তৃণমূলের জয় স্পষ্ট হতেই জেলায় জেলায় হিংসা শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির একের পর এক পার্টি অফিস। তৃণমূলের হামলা থেকে রেহাই পাননি বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও। হামলা হয়েছে নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে। চাকদার জয়ী বিজেপি প্রার্থী বঙ্কিম ঘোষের বাড়িতে।