ফের কলকাতায় টাকার পাহাড়। সূত্রের খবর সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি টাকা গুনতে পেরেছেন ইডির আধিকারিকরা।আরও টাকা গোনার মেশিন আসছে। তবে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে বলে খবর। গার্ডেনরিচে শাহি আস্তাবলের রাস্তায় এক ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ির খাটের নীচে থেকে উদ্ধার প্রায় ৭ কোটি টাকা। প্লাস্টিকে মোড়ানো ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিলও খাটের নীচে লুকিয়ে রাখা ছিল। এমনকী ২০০ টাকার নোটের বান্ডিলও রয়েছে খাটের নীচে।
শনিবার সকালে ওই বাড়িতেই হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরই ধাপে ধাপে গোয়েন্দারা দোতলার ঘরে চলে যান। দোতলার ঘরের খাটের নীচে তল্লাশি চালাতেই হতবাক ইডির আধিকারিকরা। প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে রাখা রয়েছে একেবারে থরে থরে টাকা। ঠিক যেভাবে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল টাকা। অনেকটা তেমনই যখের ধন এবার ব্যবসায়ীর বাড়িতে।
ব্যবসায়ী আমির খান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেরা করছে ইডি। তবে টাকার উৎস নিয়ে তাঁরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
সূত্রের খবর, ২০২১ সালে পার্ক স্ট্রিট থানায় ফেডেরাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ জানিয়েছিল। ই-নাগেটস নামে একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা। সেই সূত্র ধরেই এবার বিপুল টাকার সন্ধান।
সূত্রের খবর, মোবাইল গেমের অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৭০ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। দেশ জুড়ে একটি অ্য়াপের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সেই প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত টাকাই গার্ডেনরীচে ব্যবসায়ী আমির খানে বাড়ির দোতলায় খাটের নীচে লুকিয়ে রাখা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।
একেবারে অতি সাধারণ বাড়ি। সেখানেই নাসির খান নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ী তিন ছেলেকে নিয়ে থাকেন। ওই বাড়ির ছেলে আমিরের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ। পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুর, নিউটাউনের আবাসনেও চলছে তল্লাশি।