সিবিআই ও ইডির বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিধানসভায় পাশ হওয়া প্রস্তাবের কোনও প্রভাব তদন্তকারী সংস্থাদুটির ওপর পড়বে না। সোমবার বিকেলে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে CBI – ED লড়াই জারি থাকবে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ১৮৯ - ৬৪ ভোটে এদিন প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ওপেন ব্যালটে ভোটদান হয়েছে বলে কেউ ক্রস ভোটিং করেনি। নইলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এবারও আমাদের পক্ষে ক্রস ভোটিং হত।
এর পর শুভেন্দু বলেন, ‘বিধানসভার কার্যবিবরণীর ১৬৯ ধারায় পাশ করা প্রস্তাবের কোনও কার্যকারিতা নেই। এই প্রস্তাব পাশের ফলে সংবিধান দ্বারা নির্দিষ্ট CBI – ED-র কার্যপদ্ধতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। ২৭ জুলাই ২০২২ সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে যে অধিকার দিয়েছে তাও এই প্রস্তাব পাশের ফলে কোনও ভাবে প্রভাবিত হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এজেন্সিগুলির লড়াই এর ফলে কোনও ভাবে প্রভাবিত হবে না।’
এর পর শুভেন্দু সুর চড়িয়ে বলেন, ‘চোরেদের সরকারের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালে সিবিআইকে তদন্তের জন্য রাজ্যের দেওয়া সম্মতিপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে রাজ্যে আর কোনও স্বতঃপ্রণোদিত FIR করার অধিকার হারায় সিবিআই। ওই সময় থেকেই ওনার গুণধর ভাইপো কয়লা - গরুতে হাত পাকাতে শুরু করেন। শংকর ঘোষ বলেছেন, সিবিআইয়ের চেয়ারম্যান রাজনৈতিক ভাবে নির্বাচিত হন না। অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, যারা পার্থ – অনুব্রকে বীরের মর্যাদা দেয় তারা তো সিবিআই – ইডির বিরোধিতা করবেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে ইডি - সিবিআই। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। অথচ একদিনে কেন্দ্রীয় সরকার আরেকদিকে বিরোধী দলনেতাকে গালমন্দ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
যদিও তৃণমূলের দাবি, এই প্রস্তাব পাশ ঐতিহাসিক ঘটনা। ভবিষ্যতে অন্যান্য অবিজেপি শাসিত রাজ্যও বিধানসভায় এই ধরণের প্রস্তাব পাশ করবে।