রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতি তদন্তে ইডি - সিবিআইয়ের তৎপরতা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করলেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির তদন্তে ইডি - সিবিআইয়ের তৎপরতা সন্তোষজনক নয়। এর আগে এই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার ইডি - সিবিআই নিয়ে একই সুর শোনা গেল শংকরবাবুর কণ্ঠে।
আরও পড়ুন - গ্রেফতারির পর হাসপাতালে বসেও রেশন দুর্নীতির টাকার বখরা নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়: ED
পড়তে থাকুন - বারো বছরের পুরনো ঘটনায় নবদ্বীপে ইসকনের প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ
শিক্ষক নিয়োগ, রেশনসহ রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। শংরবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ইডি - সিবিআইকে যে ভূমিকায় দেখতে চায় সেটা হচ্ছে না। তাদের তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে। কোর্টের তত্বাবধানে যে সব তদন্ত চলছে তাতে সিবিআই – ইডিকে আরও তৎপর হতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থার গা ছাড়া মনোভাবে দুর্নীতিবাজদের মনোবল বাড়ছে। যার জেরে সাধারণ মানুষের সামনে তারা এই দাবি করে বেড়াচ্ছে যে, যথেচ্ছ দুর্নীতি করলেও কেউ তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না। সমাজে এই ধারণা বদ্ধমূল হলে সমূহ বিপদ। এই রাজ্যে দুর্নীতির আঁতুড় ঘর কালীঘাট আর ক্যামাক স্ট্রিট। যতক্ষণ না ED - CBI এখানে হানা দিচ্ছে দুর্নীতির মাথাদের ধরা যাবে না।’
এর আগে ইডি - সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। আদালতে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুধু বিরোধী দলনেতা নন, খোদ আদালতও একাধিকবার দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকাকে ভর্ৎসনা করেছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন কলকাতায় ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর। তাঁর তদন্ত করার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বিচারপতি। নির্দেশ দিয়েছিলেন অপসারণের।
আরও পড়ুন - স্কুলের মিড - ডে মিলের চাল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল তৃণমূল নেতা
বলে রাখি, কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন। ইডি পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।