দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মানিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিএড এবং ডিএলএড কলেজ থেকে তোলাবাজির অভিযোগ আনল ইডি। আজ বৃহস্পতিবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে মানিকের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে তার জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী।
বিভিন্ন বিএড এবং ডিএলএড কলেজ থেকে মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতার একটি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছে ইডি। এদিন ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, ওই কলেজগুলিকে ভর্তির জন্য মানিক ভট্টাচার্য ৫০ হাজার টাকা করে দিতে বলেছিলেন। সেই টাকা ঢুকেছিল মানিকের ছেলের কোম্পানিতে। যার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৩২৫ জনকে পাশ করানোর জন্য ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানিকের বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, প্রায় ৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলিকে এনওসি দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকা তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী শুনানিতে পেশ করা হবে বলে আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়। ইডির দাবি, দুর্নীতি এতটাই গভীরে যে তার সূত্র খুঁজতে গিয়েও যথেষ্ট সময় লাগছে। ফলে মানিককে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। এর ভিত্তিতে মানিকের জামিন নামঞ্জুর করার আর্জি জানাই কেন্দ্রীয় সংস্থা।