রাত গভীর হলেও আদালতের রায় না আসায় সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরেই রাখার সিদ্ধান্ত নিল ইডি। আদালতের রায় দেখে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় আনা হবে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ ভুবনেশ্বর এইমসে পৌঁছন পার্থবাবু। সেখানে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে চোর – চোর বলে তেড়ে আসে জনতা। এর পর তাঁকে ভিতরে নিয়ে যান হাসপাতালের কর্মীরা। সেখানে আগে থেকেই তৈরি ছিলেন চিকিৎসকদের দল। তাঁরা পার্থবাবুর নানা পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন, ECG, USG, ECO কিছুই বাদ দেননি তাঁরা। বিকেল ৩টের কিছু আগে আদালতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষার রিপোর্ট। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে পার্থবাবুর গুরুতর কোনও সমস্যা নেই। যে সব সমস্যা রয়েছে তা আগে থেকেই। ফলে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বসে ওষুধের মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলতে পারে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পার্থবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বলে জানান ভুবনেশ্বর এইমসের কর্ণধার।
এর পরই শুরু হয় অনিশ্চয়তা। পার্থবাবুকে হাসপাতাল থেকে কোথায় নিয়ে যাবে তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। ওদিকে কলকাতায় ইডির আদালতে পার্থবাবুর জামিনের শুনানির জন্য অপেক্ষ করতে থাকেন ইডির আধিকারিকরা। রাত ৯টা নাগাদ সেই শুনানি শেষ হলেও এখনো রায় আসেনি। ফলে রাত ৯.৩০ মিনিট নাগাদ ভুবনেশ্বর এইমসের তরফে জানানো হয়, সোমবার রাতে সেখানেই থাকবেন পার্থবাবু। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে সেই সুযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।