অনলাইন গেমিং অ্যাপ কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত ৮ মাসে আমির খানের প্রায় ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১,০০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগেও এই মামলার তদন্ত এর চেয়েও বেশি অঙ্কের লেনদেনের দাবি করছিল ইডি। এই অবস্থায় এই কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আমির খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা।
শুক্রবার ইডি আমির খানকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। যদিও এর আগে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই ছিল আমির খান। তবে গতকাল বিশেষ PMLA আদালত তাকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা আইএমপিএসের মাধ্যমে শত শত ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। দুই দিনের অনুসন্ধানে আমির খান ও তার সহযোগীদের ৬০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি।
এই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইতিমধ্যেই আমিরের সহযোগী রোমেন আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে। আগরওয়াল স্বীকার করেছে যে অর্থ ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট থেকে নগদে রূপান্তরিত হয়েছিল। তারপরে সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা হয়েছিল। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, এখনও পর্যন্ত ইডি এই মামলায় ৭০ কোটি টাকা নগদ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করেছে। তা ছাড়া, ১,০০০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
প্রসঙ্গত, আমিরকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। আমিরের সল্টলেক, গিরিশ পার্ক, পার্কস্ট্রিট, নিউমার্কেট এবং বেহালার অফিসে আগেই তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ডিভাইস এবং নথি গ্রেফতার করেছিল। তবে এই মামলায় প্রথম থেকেই আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। অবশেষে তাকে নিজেদের হেফাজতে পেল ইডি।