মঙ্গলবার সকাল সকাল ভবানীপুরের শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে হানা দিল ইডি কর্তারা। জানা গিয়েছে, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের ঠিক উল্টোদিকে একটি বস্তিতে হানা দেয় ইডি। মোবাইল অ্যাপ গেম তদন্তে নেমেই এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডির তরফে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভবানীপুরে অনেকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন হত। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বসবাসকারী নিম্নবিত্তদের অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করে বিপুল টাকা লেনদেন করা হয়েছে। গার্ডেন রিচের আমির খানকে জেরা করে যে তথ্য উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: আজ ফের কর্মবিরতিতে যাবেন সরকারি কর্মীরা, হকের ডিএ-র দাবিতে জারি আন্দোলন)
জানা গিয়েছে, এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি এই এলাকার এক যুবকের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। সেই যুবকের নাম অঙ্কিত শ। এদিকে রোহন নামে পাড়ার আরও এক যুবকের মোবাইল ফোনের ওপর ইডি নজরদারি চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। রোহন বা অঙ্কিত একেবারেই নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে। অঙ্কিতের বাবা এক বেসরকারি অফিসে পিওনের কাজ করেন। এহেন রোহন, অঙ্কিতদের অ্যাকাউন্ট 'ভাড়া' করেই কোটি কোটি টাকার ক্রিপ্টোর লেনদেন হত। তবে এই নিম্নবিত্ত পরিবারের যুবকরা কার কথাতে অ্যাকাউন্ট 'ভাড়া' দিতেন? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: সিল হয়েছে ফ্ল্যাট, আজ ইডির তলব নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নয়া চরিত্র বিভাস অধিকারীকে
প্রসঙ্গত, মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা মমলায় আমির খানের বাবা নাসের খানের শাহি আস্তাবল রোডের বাড়ির বক্স খাট থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। তার পর ক্রিপটোকারেন্সি ও ডার্ক ওয়েবের পথে কোটি কোটি পাচারের প্রমাণ পেয়েছে ইডি। পরে আমিরের নামে থাকা ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশও মেলে। এই আবহে কলকাতা পুলিশের একটি দল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছিল আমির খানকে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আমিরকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি। সেই মতো গতবছর আমিরের হেফাজতে নেয় ইডি। প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে নেমে বিটকয়েনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের সন্ধান পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। ভবানীপুরে অনেকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন হতো বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের।