দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে সংগঠিত কর্মকাণ্ডে অর্থ যোগান দেওয়ার অভিযোগের তদন্তে নেমে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা PFI-এর একাধিক ডেরায় তল্লাশি চালাল ইডি। কলকাতা ও মুর্শিদাবাদের অন্তত ৪টি ঠিকানায় বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। রাজধানী দিল্লি ছাড়াও আট রাজ্যে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। কেরালায় পিএফআইয়ের শীর্ষ নেতাদের হানা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
দেশবিরোধী নানা বিক্ষোভ ও সন্ত্রাসে অর্থ যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে PFI-এর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে আগেই দিল্লিতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সূত্রেরই বাংলা থেকে অর্থ সংগ্রহের সূত্র মেলে। তার পরই এরাজ্যেও তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেন গোয়েন্দারা।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা নাশকতা ও বিস্ফোরণে অর্থ যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে PFI-এর বিরুদ্ধে। এমনকী CAA বিরোধী আন্দোলনেও তারা অর্থ যোগান দিয়েছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠনের সদস্যরা প্রায় ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। টাকা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকেও, বলে অভিযোগ।
কেরালায় জাতীয় চেয়ারম্যান ওএমও সালামের বাড়ি সহ তিন নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তিনি বলেন যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে এই তল্লাশি কৃষক আন্দোলন থেকে নজর ঘোরানোর জন্য। দিল্লিতে ২৬টি স্থানে রেড চালায় ইডি। এছাড়াও আরো আট রাজ্যে পিএফআইয়ের ডেরায় পৌঁছে যায় অফিসাররা।
সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গণতান্ত্রিক ও আইনি উপায়ে তারা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। নিষিদ্ধ সিমির থেকেই পিএফআইয়ের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন। কেরালায় অধিকাংশ নেতাই আগে সিমি করতেন। জন্মলগ্ন থেকেই রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দেশ বিরোধী কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ তো আছেই। পিএফআইয়ের দাবি ভারতের ২২টি রাজ্যে তাদের কার্যকলাপ চলছে।