কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এবার ইডির জেরার মুখে পড়তে চলেছেন মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। সোমবার আদালত থেকে দেবাঞ্জনকে জেরার অনুমতি পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে যে কোনও দিন দেবাঞ্জনকে জেরা করতে জেলে যেতে পারেন তাঁরা।
ভুয়ো টিকাকাণ্ডের পান্ডা দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। মানুষ ঠকিয়ে টাকা জোগাড় করে সেই টাকাতেই ভুয়ো টিকাকরণ শিবির খুলেছিলেন দেবাঞ্জন, এমনই অনুমান গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগও জমা পড়েছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিজেকে IAS আধিকারিক ও পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন।
একই সঙ্গে দেবাঞ্জনের প্রতারণায় ব্যাঙ্কের ভূমিকাও রয়েছে ইডির নজরে। কসবার বেসরকারি ব্যাঙ্কে দেবাঞ্জন ভুয়ো নথি দিয়ে কী ভাবে কলকাতা পুরসভার নামে অ্যাকাউন্ট খুললেন তাও তদন্ত করে দেখবেন গোয়েন্দারা।
দেবাঞ্জনকে জেরা করতে চেয়ে বিধাননগরে এমপিএমএলএ আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক জানিয়েছেন, যে কোনও সময় জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দারা।
কসবা ভুয়ো টিকাকাণ্ডে ইতিমধ্যে আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে কলকাতা পুলিশ। তাতে দেবাঞ্জনসহ ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে খুনের চেষ্টার অভিযোগও।