প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এগুলি এসএসসি কেলেঙ্কারির টাকা বলে অভিযোগ। এসবের মধ্যেই তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে জেলবন্দি। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বর্তমানে আসানসোল জেলে বন্দি। তা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। বিরোধীরা বলছেন, মানুষ সব দেখছেন। তবে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে অবশ্য উল্লেখ করা হল একই কথা তবে অন্য আঙ্গিকে। কী লেখা হল সেখানে?
সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা শেষে চাঙ্গা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। সামনে পঞ্চায়েত ভোট আর তারপর লোকসভা। পাখির চোখ সকলের সেদিকেই। তৃণমূলের আরও একটু বেশি। তার কারণ বাংলার সরকারকে উৎখাত করতে বিজেপি সব ধরণের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। একদিকে তদন্তকারী এজেন্সি দিয়ে উৎপাত করা, অন্যদিকে রাজ্যের প্রাপ্য বরাদ্দ বেআইনিভাবে আটকে রাখা। নানা যুক্তি খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু সবাই বুঝতে পারছেন কেন্দ্র আসলে বাংলার সরকারকে ভয় পেয়েছে।
জাগো বাংলায় লেখা হয়েছে, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে। এতটাই ভয় পেয়েছে যে নখ দাঁত বের করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী এসে বলছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে ভালো হত অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাক, স্থবির ও প্রতিহিংসাপরায়ণ। নির্বোধ গেরুয়া শিবির বুঝতে পারছে না, মানুষ কিন্তু সব দেখছেন।