প্রবল বিতর্কে আপাতত স্থগিত হয়ে গেল সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত। সুতরাং এখন আর সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রাথমিক স্কুলে পড়াবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছিল না। তাই বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অঙ্ক এবং ইংরেজির বিশেষ ক্লাস নেবে বলে নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সেটা নিয়ে বিতর্ক হতেই স্থগিত করে দেওয়া হল।
বিষয়টি ঠিক কী ছিল? এই প্রকল্পের নাম ‘অঙ্কুর’। আর এই প্রকল্পের কথা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করার পর রাজ্য–রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপি রাস্তায় নেমে পড়ে বিরোধিতা করতে। তবে সবদিক বিচার করে এবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। অবিলম্বে এই কর্মসূচি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে পঠন–পাঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্বৈত ভূমিকা পালন করার বিষয়টি তখন সামনে আসে। আর এই কর্মসুচি নিয়েছিল বাঁকুরা জেলা পুলিশ। যা বিতর্ক তৈরি করে। তার ফলে অবিলম্বে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর। স্কুলশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্কুলে এই ধরনের কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। এমনকী কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কাছে। তবে এখন বিতর্ক থেমেছে।
পুলিশ সুপার এবং শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য কী? সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল জেলা পুলিশের। এই বিষয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘স্কুলের পড়া শেষ হওয়ার পরে পড়ুয়াদের অঙ্ক এবং ইংরেজির বিশেষ ক্লাস নেওয়া হবে। জেলাজুড়ে প্রায় ১৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের কেমন করে পড়াতে হবে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের সেই প্রশিক্ষণ দেবে একটি বেসরকারি সংস্থা।’ আর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি।’