এবার স্কুলশিক্ষা দফতরের পুরনো বিশেষজ্ঞ কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। এই পুরনো কমিটি ভাঙলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর তা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এমনকী রাজ্য সরকারের স্কুলশিক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ব্যাপক রদবদলও করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ করা হল? তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সূত্রের খবর, পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে রদবদল করেই তৈরি করা হয়েছে। এই নয়া কমিটির মেয়াদ একবছর। প্রতিটি বিষয়ে নিয়ে আসা হল একজন মেন্টর–কে। সেখানে বাদ গেলেন পুরনো কমিটির একাধিক সদস্য। যা নিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। স্কুলশিক্ষার সিলেবাস সংক্রান্ত কাজ করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
সদ্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন, চারপাশের শিক্ষাব্যবস্থা দেখে তাঁর রাতে ঘুম আসে না। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। অনেকেই তখন মনে করেছিলেন গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য হয়তো তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। আবার কেন্দ্রের সমালোচনা করে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জন্য রাজ্যকে আক্রমণ করেছেন বলেও অনেকে মনে করেন। কিন্তু এখন এই কমিটি ভেঙে দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এমন পদক্ষেপ করা হল? সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির পাল্টা নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই ১০ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক স্বার্থ যেন রক্ষা পায় তার জন্যই এই কমিটি। এই কমিটির উদ্দেশ্য হবে বিকল্প শিক্ষানীতিতে কর্মসংস্থানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আর ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ানো।