রাজ্যের ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে তাতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও নাম রয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, কোনওভাবেই তার সম্পত্তির পরিমাণ বাড়েনি। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। গতকাল এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানালেন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী।
ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আমি তিনবার হলফনামা জমা দিয়েছি। তাতে সম্পত্তির হিসেবে অস্বাভাবিক কিছু দেখা গেলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’ মামলায় যে ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাতে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ নেতা মন্ত্রীর। এছাড়াও নাম রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, ইকবাল আহমেদ, স্বর্ণ কমল সাহা, জাভেদ আহমেদ খান, রাজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রয়েছে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও নাম। মামলায় দাবী করা হয়েছে, এই সমস্ত নেতা মন্ত্রীদের সকলের সম্পত্তি ২০১১ থেকে ২০১৬ সালে বহুগুণে বেড়েছে। ওই নেতা মন্ত্রীরা নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তির হিসাব জমা দিয়েছিলেন। তাকে হাদিয়ার করেই এই মামলা করা হয়।
মামলাকারী দাবি করেছেন, ২০১১ সালে শিক্ষামন্ত্রীর আইকর রিটার্নস ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫২৩ টাকা ছিল। তবে ২০১৬ সালে তা কমে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি ২০১১ সালের থেকে ২০১৬ সালে ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রাত্যর স্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০০ শতাংশ। এছাড়াও তাঁর স্ত্রীয়ের অস্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩৮২ শতাংশ। কীভাবে এত পরিমাণ সম্পত্তি বাড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আদালতে। মামলা দায়ের করেন জনৈক বিপ্লব কুমার চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাতেই এবার ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।