বিশ্বজুড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তনী বিভিন্ন নামি সংস্থায় কাজ করছেন। সেই সমস্ত প্রক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যার মূল লক্ষ্য হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট কাটানো। এ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আর্থিক সংকট রয়েছে তা তিনি মানতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ‘যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রীতি রয়েছে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকী অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও এই রীতির প্রচলন রয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আজ প্রতিষ্ঠিত তাদের অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সারা পৃথিবীতে এটাই রেওয়াজ। আগের সরকারের আমলে এটাই হয়েছে। তার মানে এটা প্রমাণ হচ্ছে না যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাঁড়ারে টাকা নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর প্রাক্তনীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে তাদের সংগঠনকে চিঠি লিখেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি উল্লেখ করেছিলেন রাজ্য এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে অর্থ অনুদান কম পাওয়ার ফলে পরিকাঠামোর উন্নয়নে অসুবিধা হচ্ছে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার জন্য আরই অর্থের প্রয়োজন। এই আর্জি জানিয়েই তিনি চিঠি লিখেছিলেন।
মাস খানেক আগে এক প্রাক্তনী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছিলেন। তারপরেই গত অক্টোবরে প্রাক্তনী সেল তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য জানিয়েছিলেন, প্রাক্তনীরা ওই সেলে টাকা পাঠাতে পারবেন। এর আগেও, করোনা অতিমারিতে লকডাউনের সময় প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরে প্রাক্তনীদের কাছ থেকে সাহায্যও পেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।