প্রত্যেকটি আদি ভাষার প্রতি রাজ্য সরকার সংবেদনশীল। এই কথা বারবার শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এবার সংস্কৃত টোলগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনতে চায় রাজ্য সরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংস্কৃত ভাষার প্রসারে মান্যতা দিয়ে টোলগুলিকে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
কেন এই পরিকল্পনা করা হয়েছে? জানা গিয়েছে, বামফ্রন্টের আমলে কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। যা নিয়ে আবেগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংস্কৃত ভাষা শেখা শিকেয় ওঠে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এবং ফের চালুর আবেদন জানান কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তার প্রেক্ষিতেই এই পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ঠিক কী জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী? বিধানসভায় ব্রাত্য বসু জানান, সংস্কৃত প্রতিষ্ঠানগুলি টোল নামেই পরিচিত। নবদ্বীপে সংস্কৃত কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোচবিহার–সহ রাজ্যের অন্য টোলগুলিকেও নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমনকী বেসরকারি স্কুলগুলি নিয়ে একটি কমিশন গড়ারও পরিকল্পনা চলছে। স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচেই সেই কমিশনের শীর্ষে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তার জন্য বিধানসভায় বিল আনা হবে।
ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী? এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি স্কুল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও উদ্বিগ্ন। যদিও সরকার নীতিগতভাবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হস্তক্ষেপ করতে চায় না। কিন্তু মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে চেয়ারম্যান করে কমিশন তৈরির ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ভাষার অস্মিতার জন্য আমাদের সরকার খুব সংবেদনশীল। সাঁওতালি ভাষাভাষীদের এলাকায় অনেক স্কুল খোলা হচ্ছে। পুরুলিয়ায় খুব শীঘ্রই সাঁওতালি স্কুল খোলা হবে।’