বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত, পাল্টা বিবৃতি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত, পাল্টা বিবৃতি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

ব্রাত্য বসু

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে বিধানসভায় বিল পাশ করা হয়৷ যা এখনও রাজ্যপালের সই করেননি। আর তার ফাঁকেই এই উপাচার্য নিয়োগ করে দিলেন নিজের ক্ষমতাবলে। এই ইস্যুতে ফের রাজ্য–রাজভবন সংঘাত গড়াতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ডঃ মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়। আর রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে রাজ্য সরকার বলে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ সুতরাং রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ শিক্ষামন্ত্রী কার্যত বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত এখনই মানবে না উচ্চশিক্ষা দফতর৷

কেন এমন ঘটনা ঘটছে?‌ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে বিধানসভায় বিল পাশ করা হয়৷ যা এখনও রাজ্যপালের সই করেননি। আর তার ফাঁকেই এই উপাচার্য নিয়োগ করে দিলেন নিজের ক্ষমতাবলে। এই ইস্যুতে ফের রাজ্য–রাজভবন সংঘাত গড়াতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী?‌ এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিবৃতিতে জানান, ‘‌রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য–রাজ্যপালের কোনও নির্দেশ এখনও আমরা হাতে পাইনি৷ তবে যথারীতি উনি বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছেন৷’‌ এখন যিনি উপাচার্য রয়েছেন তাঁর মেয়াদ শেষ হবে সেপ্টেম্বর মাসে৷ তড়িঘড়ি কেন রাজ্যপাল রবীন্দ্র ভারতীর নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা করলেন?‌ প্রশ্নই তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ রাজ্যপাল টুইট করে এই নিয়োগের কথা জানানোর পাশাপাশি তিনি সার্চ কমিটির তালিকা থেকেই নাম চূড়ান্ত করেছেন বলে লিখেছেন। পাল্টা বিবৃতিতে ব্রাত্য বসু জানান, ‘‌আলোচ্য সার্চ কমিটি ২০২০ সালে তৈরি হয়েছিল৷ সুপারিশ এই বছর জুন মাসের৷ তার ভিত্তিতে ৩০ জুন আচার্য তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন৷ তবে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আচার্য বিষয়ক বিল বিধানসভায় অনুমোদিত হয়েছে৷ এই অবস্থায় গোটা বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখা যায় কি না, রাজ্য সরকার তা খতিয়ে দেখবে৷’‌

বন্ধ করুন