রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর ইস্তফা তিনি গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপাচার্যকে কাজ চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উপাচার্যের ইস্তফায় হতবাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। তাঁদের কথায়, দোষ করল বহিরাগত কিছু ছাত্রছাত্রী, তার দায় কেন নেবেন আমাদের স্যার?
শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু জানিয়েছেন, ইস্তফাপত্র তিনি এখনো পাননি। উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তাঁকে ইস্তফা ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করব। উনি যেমন কাজ চালাচ্ছেন তেমনই চালাবেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘উনি তো কোনও দোষ করেননি। যাঁরা দোষ করেছে, বাংলার সংস্কৃতির মুখে কালি ছিটিয়েছে, শাস্তি তাদের পেতে হবে। উপাচার্যের কী ভুল?’
বৃহস্পতিবার ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে হাজির ছিলেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাও। অভিযোগ, সেখানে রং দিয়ে ছাত্রীদের পিঠে ও ছাত্রদের বুকে কুকথা লিখে ঘুরতে দেখা যায়। রবীন্দ্রগানে কুকথা বসিয়ে লেখা একটি পংতি বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ভাইরাল হতে শুরু করে সোশ্যাল সাইটে। যাতে তীব্র ক্ষোভ জানান সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা শুরু হয়। এরই মধ্যে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চায় ৫ অভিযুক্ত। শুক্রবার সন্ধ্যার পর এই ডামাডোলের মধ্যেই ইস্তফা দেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। সূত্রের খবর, পুলিশে অভিযোগ নিয়ে শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে মতনৈক্যের জেরে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।