টেট নিয়েও বিরোধীরা নানা বিতর্ক তৈরি করলেও এবার স্পষ্ট উত্তর দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, চাকরিতে নিয়োগ–সহ টেট পরীক্ষা নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। একই সঙ্গে বললেন, টেট পরীক্ষা কোনও নিয়োগ পরীক্ষা নয়। এখন তিনি বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী। তাই প্রচারে বেশি জোর দিতে হচ্ছে। তার ফাঁকেই এই কথা জানান তিনি।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘টেট নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট সে কথা বলে দিয়েছে। সব ঠিক আছে।’ এমনকী শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ১০ নম্বরে নিজেকে ৯ দেবেন বলেও জানালেন তিনি। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সেই বিষয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘মোটেও আটবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। একবারই একটা গণ্ডগোল দেখা দিয়েছিল। এখনকার প্রযুক্তির যুগে নানা ঘটনা ঘটে। এখন প্রশ্ন ফাঁস হওয়া প্রায় রোজকার ঘটনা। আগেও হয়েছে। প্রচার হত না।’
শুক্রবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরার তকমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার উন্নতি নিয়ে পার্থবাবু বলেন, ‘রাজ্যে শিক্ষা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষাকে বাস্তবমুখী করা হয়েছে। সিলেবাস পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেটা আজকের যুগের সঙ্গে খুবই উপযুক্ত।’ আর টেট পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘টেট কোনও চাকরি নয়, এলিজিবিলিটি। গ্র্যাজুয়েট হওয়া মানেই তো চাকরি হচ্ছে না। কেন্দ্র তো বছরে দু’বার টেট পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। কিন্তু তাতে তো চাকরি হচ্ছে না। অকারণে এসব প্রচার করা হচ্ছে।’
শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা অনুযায়ী অনেকে চাকরি পেয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের অনেকে বামপন্থী প্রার্থীই তো চাকরি পেয়েছেন। তারা মেধার জন্যই পেয়েছে। আমি আবার বলছি, টেট একটি এলিজিবিলিটি।’