জেলায় জেলায় উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের কাছে রিপোর্ট তলব করল দফতর। কেন পড়ুয়ারা ফেল করলেন। সংসদের মূল্যায়ণের সূত্রে কোথাও ভুল ছিল কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সনের কাছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। পাশের হার ছিল ৯৭.৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ ২.৩১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বেশ কিছু জায়গায় পথ অবরোধ ও ভাঙচুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে বিধাননগরে সংসদ কার্যালয়ের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ দেখান বারাসতের একটি স্কুলের ছাত্রীরা।
সব জায়গায় বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, পাশ করিয়ে দিতে হবে তাঁদের। সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, পরীক্ষা না দিয়ে যারা পাশ করল তাদের মূল্যায়ণের ভিত্তি কী? অকৃতকার্য পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুল ইচ্ছা করে নম্বর কম দেওয়ায় ফেল করেছেন তাঁরা।
জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মধ্যেই শনিবার মহুয়া দাসের কাছে রিপোর্ট তলব করে শিক্ষা দফতর। বহু ক্ষেত্রে প্রগতিপত্রে যে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সংসদের ব্যাখ্যা চেয়েছে সরকার। সঙ্গে ফেল করার কারণ কি তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের একাংশের মতে অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিকে ফেলের কারণ একাদশ শ্রেণিতে স্কুলের পরীক্ষা পদ্ধতি। ছাত্র ছাত্রীদের ওপর চাপ বজায় রাখতে বহু স্কুলেই একাদশের পরীক্ষায় চেপে নম্বর দেন শিক্ষকরা। সেই নম্বরের ভিত্তিতেই এবার মূলত উচ্চ মাধ্যমিকের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে। ফলে বেশ কিছু পড়ুয়া ফেল করেছেন। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে ২.৫ শতাংশ পড়ুয়া অকৃতকার্য হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।