বাংলাদেশে একের পর এক হিংসার ঘটনা। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক নির্যাতনের অভিযোগ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এসবের মধ্যেই এবার বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কলকাতায়।
সেই সঙ্গেই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রোগী কলকাতায় চিকিৎসার জন্য় আসেন। সেই বাংলাদেশি রোগীদের একাংশকে যাতে কলকাতায় চিকিৎসা করানো না হয় তার দাবিও তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার ঠাকুরপুকুর থেকে ক্যান্সার হাসপাতাল পর্যন্ত এই মিছিল বের হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে এই মিছিল বের করা হয়েছিল। আর সেই মিছিলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কুশপুতুল দাহ করা হয়। কলকাতার বুকে পাশের দেশের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুুতুল দাহের ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশিদের মধ্য়ে বিশেষ সম্প্রদায়ের কোনও লোকজনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসার কোনও বন্দোবস্ত করবেন না। এদিকে ঠাকুরপুকুরের এই হাসপাতালের পাশে প্রচুর বাড়ি রয়েছে যেখানে সাময়িকভাবে বাংলাদেশি রোগীর পরিজনরা থাকেন। তাঁদের যাতে সেখানে আর থাকতে দেওয়া না হয় তার দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই দাবিকে ঘিরেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেত্রী ডালিয়া ঘোষ বসু সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, 'মূলত কয়েকমাস ধরে দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর কী ধরনের নারকীয় অত্যাচার চলছে। এমনকী ওখানে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তাঁর মুক্তি চাই। সেই সঙ্গেই ভারতের জাতীয় পতাকার যে অসম্মান করেছে বাংলাদেশে সেই মৌলবাদীদের থামানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ সরকার। যেভাবে অত্যাচার চলছে ওখানে…, ওরা আমাদের উপর নানাভাবে নির্ভরশীল। বাংলাদেশিরা এখানে ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য় আসেন। এখানে তাঁরা চিকিৎসার জন্য় আসেন। এখানে হাসপাতালের পাশে যে লজ রয়েছে, বাড়ি ভাড়া রয়েছে সেখানে তারা থাকেন। আমাদের পতাকাকে অপমান করবে , আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী আচরণ করবে আবার আমাদের এখানেই চিকিৎসা করাবে। অথচ তারা এখানে এসে চিকিৎসা করাচ্ছে। বাংলাদেশিদের যে সম্প্রদায় এই অত্যাচার করছে তাদের যাতে এখানে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ দেওয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করা হোক। আমরা ইউনুসের কুশপুতুল দাহ করেছি। আমরা ধিক্কার জানিয়েছি। ভারতের পতাকার অপমান হয়েছে। আমরা এটা মেনে নেব না।'