শীতকাল মানেই জমিয়ে খাওয়ার সময়। অনেকেই ভাবেন শীতকালে একটু মন ভরে ডিম খাবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছায় বাদ সাধল অতিরিক্ত দাম। একেবারে হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিমের দাম সাড়ে ৬টাকায় গিয়ে পৌঁচেছে। তবে সেই ডিমের সাইজও যথেষ্ট ছোট। তবে অনেক জায়গাতেই ১৪ টাকা জোড়া ডিম বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডিমের দাম ৭টাকা করে। এর জেরে কার্যত মাথায় হাত সাধারণ মধ্যবিত্তের।
এদিকে দেশি মুরগির ডিমের দামও কার্যত লাগামছাড়া। দেশি মুরগির ডিমের দাম প্রতি পিস ১২টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রচন্ড সমস্য়ায় পড়ে গিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে এসবের জেরে দোকানে ওমলেটের দামও হু হু করে বাড়ছে। সেদ্ধ ডিমের দাম আগে সাধারণত ১০টাকা করে নেওয়া হত। বর্তমানে সেই সেদ্ধ ডিমের জন্য় ১১ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ন্যাশানাল এগ কো অর্ডিনেশন কমিটি ডিমের দামের নিয়ামক সংস্থা। তারাই ডিমের দাম নির্ধারন করে। তারা ডিমের দামের পাইকারি বিক্রির তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে কলকাতায় প্রতি ১০০ পিস ডিমের দাম ৫৮৫টাকা। তাহলে একটি ডিমের পাইকারি দাম যাচ্ছে ৫টা ৮৫ পয়সা। আর সেই ডিমই দোকানে খুচরো বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬টাকা থেকে ৭টাকা।
এদিকে সামনেই আসছে বড়দিন। কেক খাওয়ার মরসুম। আমজনতা কেক কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এদিকে কেক তৈরির জন্য অধিকাংশক্ষেত্রে ডিম লাগে। কেক তৈরির জন্য় প্রচুর ডিমের প্রয়োজন হয় কেক তৈরির ইউনিটগুলিতে। মনে করা হচ্ছে তার জেরে বাজারে ডিমের যোগানের একটি সমস্য়া হতে পারে। আর বাজারে সংকট হলে স্বাভাবিকভাবেই ডিমের দামও বাড়তে পারে। ফলে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে গোটা শীতকাল জুড়েই ডিমের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। অনেকেই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ডিম কেনার সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছেন।