ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে কলকাতা লাগোয়া এলাকার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দায় তাদের নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বলেছিলেন, সিইএসসির ব্যর্থতার দায় কলকাতা পুরসভা বা রাজ্য সরকারের হতে পারে না। সোমবার ফের একবার একই বল করলেন তিনি। বললেন, ‘সিইএসসিকে বলেছি, এনাফ ইজ এনাফ।’
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘সিইএসসির লোকজনকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। বলেছি, এনাফ ইজ এনাফ। আর কত ধৈর্য ধরব। এই কাজ করতে চার-পাঁচ দিন লাগতে পারে না। আগে গাছ কাটা হয়নি বলে অজুহাত দিচ্ছিল। আমি সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে জানতে চাইলাম, আপনারা কি ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পূর্বানুমান করতে পারেননি।’
সিইএসসিকে ফিরহাদের পরামর্শ, ‘যেখানে তার ছিঁড়ে গিয়েছে সেখানে তো তারটা জুড়ে দিলেই হল। আর যেখানে পোল পড়েছে সেখানে টেমপোরারি কানেকশন দিয়ে দেবে।’
যদিও বিরোধীদের দাবি, সিইএসসির ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতে চাইছে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে সিইএসসির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বিদ্যুতের মাশুল বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এখন জনরোষ থেকে বাঁচতে তাদের সঙ্গে গট আপ গেম খেলছেন ফিরহাদরা। বিরোধীদের প্রশ্ন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে সতর্ক করার দায়িত্ব কার? সেই দায় কী করে এড়াতে পারেন ফিরহাদবাবুরা?