রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। বুধবার ভরসন্ধ্যেয় খাস কলকাতায় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার কসবার ঘটনায় পর্ণশ্রী, পূর্ব যাদবপুর এবং কসবা এই তিন এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। যেগুলি এই বোমাবাজির কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। বোমা তৈরির সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এছাড়াও তিনটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তারা কেন এই কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মোটরবাইকে চেপে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এখানে আসে। কসবায় মন্ত্রীর বাড়ির কাছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের বিপরীতে একটি মুদিখানা দোকানের পাশ থেকে বোমা ছোঁড়ে ওই দুষ্কৃতীরা। বিকট শব্দে বোমা ফাটে। কসবার মতো এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চন্দননগর থেকে ফেরার পর এই ঘটনার কথা জানতে পারেন ইন্দ্রনীল সেন। কাপুরুষের মতো কাজ বলেই কটাক্ষ করেন তিনি। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কসবার একটি বিখ্যাত শপিং মলের পেছনে বহুতলে সপরিবারে থাকেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি এসি গাড়ি এসে থামে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে। সেই গাড়ি থেকে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর গাড়িটি চলে যায় বাইপাসের দিকে। এর আগে মঙ্গলবার রাতেও ওই এলাকায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এই ক্লু স্থানীয়দের থেকে পেয়ে ধরপাকড়ে নামে পুলিশ। সেখানে বোমাবাজির কাজে ব্যবহৃত মোটরবাইক উদ্ধার করা গেলেও এই এসি গাড়ির রহস্য এখনও উদঘাটন করা যায়নি।
ধৃতেরা হল গৌতম মণ্ডল, অশোক বৈদ্য, সোনু সাউ, রাহুল রায়, ভোলা পাশোয়ান। ধৃতদের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তিনটি মোটরবাইকও। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে হামলা চালাল এই যুবকেরা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদের জেরা করেই এসি গাড়ির কিনারা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এমনকী সামনে আসতে পারে ঘটনার মূলচক্রীর নামও।