মাত্র পাঁচদিনেই কিস্তিমাত! পড়ুয়াদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প—স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার কথা ভেবে নির্বাচনী ইস্তেহারে তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল। আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে দু’মাসের মধ্যে তার বাস্তবায়ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, গত পাঁচদিনে আবেদন জমা পড়েছে ৮ হাজার। এমনকী যা আবেদন জমা পড়েছে রাজ্যের কাছে তাতে সবমিলিয়ে ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
সোমবার ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দু’মাস পূর্তি। আর সেই দিনই জানা গেল, আবেদনের সংখ্যা ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার ছুঁই ছুঁই। সবাই অনলাইনে জমা করেছে। সব মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আবেদনকারী অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী রাজ্যের মধ্যে পড়তে চান। রাজ্যের বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্যও ক্রেডিট কার্ডের আর্জি জমা পড়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঋণের অঙ্ক পাঁচ লক্ষ টাকার আশপাশে। সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য। ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ার জন্য মোট ১২০০ আবেদন জমা পড়েছে। বাকি আবেদন স্কুল নিয়ে পড়ার জন্য জমা পড়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই ৮ হাজার আবেদনের মধ্যে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বালিগঞ্জ এলাকা থেকে। তারপরে যাদবপুর এবং উত্তরপাড়া।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে প্রথমেই জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষায়। ছাত্রীদের অল্প বয়সে স্কুলছুট হওয়া বা বিয়ে ঠেকাতে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন। তার জন্য স্বীকৃতি এসেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে। পুরস্কৃত হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবুও পড়াশোনার খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, পড়ুয়াদের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে এডুকেশন লোন নিতে হয়। এবার সেই ঋণের বোঝা থেকে তাদের মুক্তি দিলেন তিনি। রাজ্য সরকারকে গ্যারান্টার বানিয়ে। বুধবার বাজেটে এই প্রকল্পে টাকার সংস্থান বরাদ্দ করার কথা।